জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনারের ঢাকা মিশন তিন বছরের জন্য চালু করতে খসড়া সমঝোতায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট জমা দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশন। ওনাদের সঙ্গে সরকারের অনেকদিন ধরে আলোচনা চলছিল। সংস্থাটি বাংলাদেশে একটি অফিস খুলতে চাচ্ছে। এই আলোচনায় একটা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি খসড়া সমঝোতা উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদন হয়েছে। এটা আমরা কয়েকজন উপদেষ্টা মিলে পরীক্ষা করবো। ফাইনাল খসড়া করে মানবাধিকার কমিশনার কার্যালয়ের প্রধান ভলকার তুর্কের কাছে পাঠাবো।
আসিফ নজরুল বলেন, এটা করার পর আশা করি, আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমঝোতা সই করতে পারবো। এর ভিত্তিতে বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক অফিস হবে। এই অফিস হবে প্রাথমিকভাবে তিন বছরের জন্য। চুক্তির দ্বিতীয় বছরে দুই পক্ষের সম্মতিতে নবায়ন পর্যালোচনা করা হবে। আমরা আশা করি, আগামীতে এবং আমাদের সরকারের আমলেও যদি কোনো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমাদের যে মানবাধিকার বিষয়ক রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো আছে, তার পাশাপাশি জাতিসংঘের এই অফিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে।
এদিকে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ফৌজদারি কার্যবিধির একটি সংশোধন অনুমোদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, মামলা বাণিজ্য এবং ভুয়া মামলা থেকে পরিত্রাণ পেতে ফৌজদারি দণ্ডবিধিতে নতুন সংশোধন যুক্ত করা হচ্ছে। এতে করে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে সাক্ষ্য প্রমাণ না থাকলে বিচার কাজ শুরুর আগে আদালত অভিযুক্তকে মুক্তি দিতে পারবে।
খুলনা গেজেট/এইচ